আসামীর পরিচয় সনাক্তকরণে দেশের সকল থানা ও কারাগারসমূহে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ক্রমান্বয়ে চালুর নির্দেশনা প্রদান।
জহিরুদ্দিন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল। একজন আসামি জহিরুদ্দিনের নাম ব্যবহার করে জেল খেটে জামিন নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জহিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। জহিরুদ্দিন উচ্চ আদালতে রিট মামলা দায়ের করেন। উচ্চ আদালত পিবিআইকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে বেরিয়ে আসে জহির উদ্দিন নির্দোষ, প্রকৃত আসামী অন্যজন। তার নাম মোদাচ্ছের আনছারী।
এ ধরণের দূর্ঘটনা প্রতিরোধে আদালতে বিজ্ঞ আইনজীবী শিশির মনির তিনটি প্রস্তাব উপস্থাপন করেন ।
শুনানি অন্তে আদালত পর্যবেক্ষণসহ রুল চুড়ান্ত ঘোষণা করেছেন। আবেদনকারী জহির উদ্দীনের বিরুদ্ধে জারিকৃত পরোয়ানা অবৈধ এবং আইন বহির্ভূত হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ তিনটি নির্দেশনাঃ
১.
বিদ্যমান ব্যবস্থার সাথে সব থানায় আসামীর হাতের আংগুল ও তালুর ছাপ, চোখের মণি, বায়োমেট্রিক পদ্ধতির প্রচলন
২.
গ্রেফতারের পর আসামীর সম্পূর্ণ মুখের ছবি (Mugshot photographs) ধারণ ও কেন্দ্রীয় তথ্যভাণ্ডারে (integrated ) সংরক্ষণ
৩.
দেশের সব কারাগারে আংগুল ও হাতের তালুর ছাপ, চোখের মণির সংরক্ষণের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষণ সিস্টেম চালু করা।
Source : Mr shishir Monir, Learned Advocate Supreme court of Bangladesh