ন্যাচারাল জাস্টিসের একটি ব্যতিক্রম ঘটে যখন আদালত অবমাননার বিচার করা হয়, সুস্পষ্ট করে বললে ” Nemo debet essc judex in propria causa” অর্থাৎ যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সে ঐ বিচার প্রক্রিয়ায় বিচারক হতে পারবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার পর আদালত অবমাননার বিষয়টি এখন লিগাল হট টপিক।
যেহেতু আদালতের সাথে কোনো অপরাধের ঘটনা ঘটলে আদালত নিজেই সেটার বিচার করতে হয় সেজন্য অববাননার বিচারের ক্ষমতা সাংবিধানিক আদালতের কাছে ন্যস্ত করা হয়েছে অর্থাৎ হাইকোর্ট বিভাগের নিকট।
এটা আইনের সু প্রতিষ্ঠিত নীতি যে, যখন আইনের সাধারণ নিয়মের বিরুদ্ধে যাওয়ার প্রয়োজন তখন absolute protection নিশ্চিত সম্ভব নয় তখন minimum protection নিশ্চিত করতে হয়।
মিনিমাম প্রটেকশন কিভাবে দেওয়া হলো?
সাধারণত দুই ভাবে দেয়া হয়েছে:
১. যে আদালতকে অবমাননা করা হয়েছে সে আদালত কারণ দর্শানোর নোটিশ দিবে, সন্তুষ্ট না হলে তা মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নিকট প্রেরণ করতে হবে বিচারের জন্য, অর্থাৎ যে আদালতকে অবমাননা করা হয়েছে সে আদালত বিচার করতে পারবে না। তবে এটারও একটা ব্যতিক্রম হচ্ছে যদি কেউ হাইকোর্ট বিভাগকে অবমাননা করে সে ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগ নিজেই বিচার করতে পারে।
২. সংবিধানের ১০৩ অনুচ্ছেদ, আদালত অবমাননার শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিলের অধিকার দিয়েছে।
Nayem Hasan Ovi
Criminal Lawyer
Sessions Judge Court, Dhaka.