হয়রানি

ফেসবুকে বা মোবাইলে হয়রানির শিকার হলে করণীয় কী?

ফেসবুক, টুইটার, হোয়াট্স অ্যাপ, ভাইবার, ইমো, স্কাইপ, ই-মেইল ইত্যাদি যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ থেকে সহজতর করেছে। আর এগুলোর মধ্যে বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বড় আকারের স্থান দখল করে নিয়েছে ফেসবুক।

ফেসবুক ব্যবহারে সামাজিক যোগাযোগের পাশাপাশি অনেক সময় এই ফেসবুক-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের নোংরামি করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে অনেকেই। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুক, টুইটার, ই-মেইল বা ব্লগে কাউকে হয়রানি করা কিংবা প্রতারণার ঘটনা ঘটছে অহরহ। 

এক্ষেত্রে ২০০৬ সালের তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করে, যা মিথ্যা ও অশ্লীল; কেউ তা পড়লে, দেখলে বা শুনলে নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে পারে; যার দ্বারা মানহানি ঘটে; আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে; রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এবং কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে-এমন ধরনের তথ্যের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উসকানি প্রদান করা হলে তিনি সর্বোচ্চ ১৪ বছর এবং কমপক্ষে ৭ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সেই সঙ্গে এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানাও হতে পারে (ধারা ৫৭-এর উপধারা-১)। 

অপরদিকে, ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি আইনে বলা হয়েছে- কোনো ব্যক্তি ইন্টারনেট বা ওয়েবসাইট বা মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি সরবরাহ করলে তিনি এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *